উড়াল বড়পর্দার আকাশে

উড়াল  বড়পর্দার আকাশে

বন্ধু মানে কী ? বলা হয়, দুটি দেহের মধ্যে একটি হৃদয়। এমন বন্ধুত্ব দুর্লভ। তবে রবীন্দ্রনাথের এই কথাটি সঠিকÑ “গোলাপ যেমন একটি বিশেষ জাতের ফুল, বন্ধু তেমনি একটি বিশেষ জাতের মানুষ।”

বন্ধুত্বের প্রকাশ বিশ্বের নানা চলচ্চিত্রেই দেখা গেছে, যাচ্ছে। কিন্তু বন্ধুত্বকে ঘিরে চলচ্চিত্রের সংখ্যা সব দেশেই কম। বাংলাদেশে তো আরও কম। এই পরিস্থিতিতে গতকাল ১ আগস্ট, বিশ্ব বন্ধু দিবসকে সামনে রেখে মুক্তি পেয়েছে ‘উড়াল’।

তরুণদের বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং স্বপ্নের গল্প নিয়ে এসেছে ‘উড়াল’ চলচ্চিত্রটি। এটি পরিচালনা করেছেন জোবায়দুর রহমান। এটি তার অভিষেক চলচ্চিত্র। সিনেমাটির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সম্রাট প্রামানিক। যাত্রাপার্টি ব্যানারে নির্মিত এই সিনেমার প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা শরীফ সিরাজ। এটি তারও প্রথম প্রযোজিত চলচ্চিত্র।

গত ৫ জুলাই ‘উড়াল’-এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশ করা হয়। পোস্টারের মাধ্যমে জানানো হয় এটি বন্ধুত্বের গল্পভিত্তিক একটি বিশেষ সিনেমা।

‘উড়াল’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে তিন তরুণ বন্ধু ও এক তরুণীকে ঘিরে। বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং সম্পর্কের নানা রঙিন বাঁক ছবির প্রতিটি দৃশ্যে ফুটে উঠেছে, যা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিভাবান নবীন অভিনয়শিল্পী। তাদের মধ্যে রয়েছেন চাঁদপুরের কৃতীসন্তান শান্ত চন্দ্র সূত্রধর, মাহাফুজ মুন্না, সোহেল তৌফিক, কাব্যকথা, কে এম আবদুর রাজ্জাক, কবরী দাশ, রোশেন শরিফ, মীর সরওয়ার আলী মুকুল প্রমুখ।

পরিচালক জোবায়দুর রহমান জানান, “...‘উড়াল’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি আমাদের সকলের যৌবনের গল্প, বন্ধুত্বের গল্প। আমরা এমন একটি ছবি নির্মাণের চেষ্টা করেছি, যেখানে দর্শক প্রতিটি চরিত্রে নিজের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাবেন। তরুণ প্রজন্মের হাসি-কান্না, সম্পর্ক ও স্বপ্নগুলো এই গল্পে প্রাণ পাবে।”

পরিচালক জোবায়দুর রহমান আরও জানিয়েছেন, “বন্ধুত্ব জীবনের অন্যতম সেরা উপহার। সেই অনুভূতিগুলো নিয়েই ‘উড়াল’। আমরা সবাই মিলে এই গল্পকে প্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দর্শকদের ভালোবাসা আর গ্রহণযোগ্যতাই আমাদের সাফল্য। সবাইকে সিনেমা হলে আমন্ত্রণ জানাই।”

‘উড়াল’-এর শুটিং হয়েছে নড়াইলে এবং উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে। যেহেতু সিনেমাটিতে নবীনরা কাজ করেছেন, সেহেতু শুটিংয়ে বিলাসিতার কোনো সুযোগ ছিল না। ফলে নতুন শিল্পীদের আগে থেকেই পুরে প্রক্রিয়াটি বোঝানো হয়েছে। অবশ্য সবার মধ্যেই আগ্রহ ছিল ভালো করার, তাই কোনো সমস্যা হয় নি।

উল্লেখ্য, একটি নাট্যদল থেকে ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অভিনয়শিল্পী নির্বাচন করা হয়েছে। আর যারা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাদের গ্রুমিং করানো হয়েছে। আর যেহেতু সিনেমাটির গল্প বন্ধুত্বের, সেহেতু গ্রুমিং সেশন থেকেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি চেষ্টা করেছেন পরিচালক। অভিনয়শিল্পীরা একসঙ্গে থেকেছেন, খাবার ভাগ করে খেয়েছেন। পর্দায়ও বন্ধুত্বের এই রসায়নটা দেখতে পাবেন দর্শকেরা। আরেকটি কথা, সিনেমায় আঞ্চলিক ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিবেশের প্রতি যত্ন নেওয়া হয়েছে, যাতে গল্পের বাস্তবতা বজায় থাকে।

Leave a Reply

Your identity will not be published.