[বাংলা সাহিত্যের স্মরণীয় স্রষ্টাদের মধ্যে শুধু পুরুষ নয়, নারীও রয়েছেন। তাঁদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছে আমাদের সাহিত্য ভুবন। ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধÑসব ধরনের রচনাতেই নারীরা সৃজনশীলতার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। বাংলা সাহিত্যের সেইসব স্মরণীয় নারী এবং তাঁদের কীর্তির কথাই এই ধারাবাহিক রচনায় তুলে ধরা হয়েছে।]
নারীপ্রগতি ও নারীশিক্ষার কিছু উল্লেখযোগ্য মাইলফলক
১৮২৯ সতীদাহপ্রথা বিলুপ্ত আইন।
১৮৪৯ বেথুন ‘ভিক্টোরিয়া গার্লস স্কুল’ খোলেন মেয়েদের জন্য, যা পরে বেথুন স্কুল হয়ে বেথুন কলেজে পরিণত হয়।
১৮৫৭ বিধবাবিবাহ আইন পাশ।
১৮৬৩ বাংলার নারীদের মধ্যে শিক্ষার আলো আর সচেতনতা আনার জন্যে এবং তাদের মনের কথা তুলে ধরার জন্যে উমেশ চন্দ্র দত্ত সম্পাদিত ‘বামাবোধিনী পত্রিকা’র যাত্রা শুরু।
১৮৬৬ বহুবিবাহ নিষেধক আইন পাশ, বাংলায়।
১৮৬৬ বাংলার প্রথম পেশাজীবী নারীরূপে রাধাসুন্দরী (মতান্তরে রাধামণি দেবী; মতান্তরে রাধারানী দেবী) ৩০ টাকা (মতান্তরে ৪০ টাকা) বেতনে শেরপুর স্ত্রীশিক্ষা বিধায়নী সভায় চাকরি লাভ করেন।
১৮৬৭ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী নারীর জন্যে সংস্কৃত পোশাক প্রবর্তন করেন।
১৮৭০ শিশুকন্যা হত্যা নিবারণ বিল পাশ।
১৮৭১ বহুবিবাহ আইন বাংলায় পাস করলেও সর্বভারতে পাস করে নি। তথাপি সামাজিক নিন্দা ও মূল্যবোধের পরিবর্তনের কারণে সমাজে বহুবিবাহ সমর্থন হারিয়ে ফেলে।
১৮৭৩ নবাব ফয়েজুন্নেসা কুমিল্লায় একটি উন্নত বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৭৩ দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়, দুর্গামোহন দাশ, আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, ভগবান চন্দ বসু, মনমোহন ঘোষ মিলে ‘হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরে ‘বংগীয় মহিলা বিদ্যালয়’ নাম গ্রহণ করে। দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং আনন্দ মোহন বসু এবং দুর্গামোহন দাস বিদ্যালয়টির খরচ বহন করতেন।
১৮৭৮ সালে বংগীয় মহিলা বিদ্যালয় বেথুন কলেজের সঙ্গে মিশে যায়।
১৮৭৯ সালে বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বেথুন স্কুলের প্রথম স্নাতক কাদম্বিনী বসু উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাঁর স্বীকৃতিতে বেথুন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। একজন মাত্র ছাত্রী কাদম্বিনী বসুকে নিয়ে কলেজের পঠন-পাঠন শুরু হয়।
১৮৮২ সালে অবলা বসু পিতা দুর্গামোহন দাশকে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্যে ধর্ণা দিয়েও ব্যর্থ হন। নারীর জন্যে মেডিকেল স্কুলের দরজা খোলে না। অবলা ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন বাধ্য হয়ে।
১৮৮৩ বাংলায় মেয়েদের জন্যে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া অনুমোদিত হয়।
১৮৮৩ মেয়েদের মধ্যে প্রথম বি.এ কাদম্বিনী বসু ও চন্দ্রমুখী বসু।
১৮৮৪ মেয়েদের মধ্যে প্রথম এম.এ. চন্দ্রমুখী বসু।
১৮৮৪ চন্দ্রমুখী বসু প্রথম ডিগ্রিধারী নারী যিনি চাকরি পান। ১৮৮৪ সালে প্রথমে বেথুন কলেজে সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৮৮৬ মেয়েদের মধ্যে প্রথম ডাক্তার কাদম্বিনী বসু (এইগঈ)
১৮৮৬ কবি কামিনী রায় (সেন) অবিভক্ত ভারতের প্রথম মহিলা অনার্স গ্র্যাজুয়েট।
১৮৯০ মেয়েদের মধ্যে প্রথম এম.বি. বিধুমুখী বসু।
১৮৯১ বাল্যবিবাহ রোধে সহবাসসম্মত বয়স ১২-এর নিচে দণ্ডনীয় অপরাধ আইন করে ১২-এর নিচে বিবাহ রোধ করা হয়।
১৮৯৩ নবাব ফয়েজুন্নেসা নারীদের জন্যে কুমিল্লায় জেনানা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১১ মুসলমান মেয়েদের জন্যে সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল উর্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন রোকেয়া কলকাতায়।
১৯১৯ সরোজিনী নাইডু একটি নারী প্রতিনিধি দল নিয়ে ইংল্যান্ড গিয়ে নারীর ভোটাধিকারসহ কয়েকটি জরুরি দাবি পেশ করেন সর্বভারতীয় নারীদের তরফ থেকে।
১৯২১ সফিয়া খাতুন সম্পাদিত প্রথম মুসলিম নারীদের মাসিক পত্রিকা ‘আন্নেসা’ প্রকাশিত হয়।
১৯২৩ লীলা নাগ তাঁর দীপালী সংঘের মাধ্যমে ২টি ইংরেজি স্কুল ও ১২টি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমে নারীশিক্ষা বিস্তারের পদক্ষেপ নেন।
১৯২৫ বাংলায় মেয়েদের ভোটাধিকার অর্জন।
১৯২৬ সরোজিনী নাইডু জাতীয় কংগ্রেস দলের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯২৭ অল ইন্ডিয়া উইমেন্স এডুকেশন কনফারেন্স প্রতিষ্ঠা।
১৯২৭ নারীশিক্ষার প্রসার এবং সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার জন্য আনীত প্রস্তাবে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বংগীয় আইন পরিষদের সম্মতি আদায়ের উদ্দেশ্যে বেঙ্গল উইমেন্স এডুকেশন লীগ গঠিত হয়।
১৯২৭ ফজিলুতেন্নেসা গণিতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে প্রথম বাঙালি মুসলমান মেয়ে হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯২৯ বাংলার নারীরা ভোটাধিকার অর্জন করেন।
১৯৪৭ নূরজাহান বেগম ও বেগম সুফিয়া কামাল সম্পাদিত ‘বেগম’ প্রকাশিত হয়।
১৯৫৫ ভারতে হিন্দু বিবাহ আইন সংস্কার; পুরুষের এক বিয়ে বিধিবদ্ধ; বিবাহ-বিচ্ছেদ নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যে স্বীকৃত
১৯৫৯ ভারতে হিন্দু আইনের সংস্কার; সম্পত্তিতে নারীর সমঅধিকার স্বীকৃত।
১৯৬০ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বাজারজাত।
১৯৯৪ কায়রোতে জাতিসংঘে আয়োজিত নারী প্রজনন স্বাস্থ্য ও জন্মনিয়ন্ত্রণের ওপর ঐতিহাসিক সম্মেলন
২০১১ বাংলাদেশের নারীনীতি প্রণীত
দ্বিতীয় পর্ব
বাংলার এক শত স্মরণীয় নারী
১. অবলা বসু (১৮৬৫-১৯৫১)
২. অরুণা আসফ আলী (১৯০৯-১৯৯৬)
৩. আজিজুন্নেসা খাতুন (১৮৬৪-১৯৪০)
৪. আঙুরবালা (১৯০৬-১৯৮৪)
৫. আরতি সাহা (গুহ) (১৯৩৩-১৯৯৪)
৬. আশাপূর্ণা দেবী (১৯০৯-১৯৯৫)
৭. আশালতা সেন (১৮৯৪-১৯৭২)
৮. ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী (১৮৭৩-১৯৬০)
৯. ইন্দুবালা (১৮৯৯-১৯৯৪)
১০. ইলা মিত্র (১৯২৫-২০০২)
১১. ঊর্মিলা দাশ (১৮৮৩-১৯৫৬)
১২. কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯২৪-২০০০)
১৩. কবিতা সিংহ (১৯৩১-১৯৯৮)
১৪. কমলা দাসগুপ্ত (১৯০৭-২০০০)
১৫. কমলা ঝরিয়া (১৯০৬-১৯৭৯)
১৬. করিমুন্নেসা খানম (১৮৫৫-১৯২২)
১৭. কল্পনা দত্ত (১৯১৩-১৯৯৫)
১৮. কাদম্বরী দেবী (১৮৫৯-১৮৮৪)
১৯. কাদম্বিনী বসু (গঙ্গোপাধ্যায়) (১৮৬১-১৯২৩)
২০. কানন দেবী (১৯১৫-১৯৯২)
২১. কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩)
২২. কুসুমকুমারী (১৮৭৬-১৯৪৮)
২৩. কুসুমকুমারী দাশ (১৮৭৫-১৯৪৮)
২৪. কৈলাসবাসিনী দেবী (গুপ্ত) (১৯ শতক)
২৫. কৈলাসবাসিনী মিত্র (১৮২৯-১৮৯৫)
২৬. কৃষ্ণকামিনী দাসী (১৯ শতক)
২৭. কৃষ্ণভামিনী দাস (১৮৬৪-১৯১৯)
২৮. খায়রুন্নেসা খাতুন (১৮৭৫-১৯১০)
২৯. গওহরজান (১৮৭০-১৯৩০)
৩০. গোলাপসুন্দরী (সুকুমারী দত্ত-১৯/২০ শতক)
৩১. জ্ঞানদানন্দিনী দেবী (১৮৫০-১৯৪১)
৩২. চন্দ্রমুখী বসু (১৮৬০-১৯৪৪)
৩৩. চন্দ্রাবতী (১৫৫০-১৬০০)
৩৪. জাহানারা ইমাম (১৯২০-১৯৯৪)
৩৫. জোবেদা খাতুন চৌধুরানী (১৯০১-১৯৮৬)
৩৬. জ্যোতির্ময়ী গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৮৯-১৯৪৫)
৩৭. জ্যোতির্ময়ী দেবী (১৮৮৯-১৯৪৫)
৩৮. তরু দত্ত (১৮৫৬-১৮৭৭)
৩৯. তাহেরননেসা (১৯/২০ শতক)
৪০. তৃপ্তি মিত্র (১৯২৫-১৯৮৯)
৪১. দৌলতুন্নেসা খাতুন (১৯১৮-১৯৯৭)
৪২. নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরী (১৮৫৮-১৯০৩)
৪৩. নভেরা আহমেদ (১৯৩৯-২০১৫)
৪৪. নীলিমা ইব্রাহীম (১৯২১-২০০২)
৪৫. নূরজাহান মুরশিদ (১৯২৪-২০০৩)
৪৬. নূরুন্নেসা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী (১৮৯৪-১৯৭৫)
৪৭. নেলী সেনগুপ্ত (১৮৮৬-১৯৭৩)
৪৮. প্রতিভা বসু (১৯১৫-২০০৬)
৪৯. প্রভাবতী দেবী সরস্বতী (১৮৯৬-১৯৭২)
৫০. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (১৯১১-১৯৩২)
৫১. ফজিলাতুন্নেসা রেণু (১৯৩০-১৯৭৫)
৫২. ফিরোজা বেগম (১৯৩০-২০১৪)
৫৩. বদরুন্নেসা আহমেদ (১৯২৭-১৯৭৪)
৫৪. বাসন্তী দেবী (১৮৮০-১৯৭৪)
৫৫. বিনোদিনী দাসী (১৮৬৩-১৯৪২)
৫৬. বীণা দাস (১৯১১-১৯৮৬)
৫৭. বেগম ফজিলাতুন্নেসা (১৮৯৯-১৯৭৭)
৫৮. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত (১৮৮০-১৯৩২)
৫৯. ভগিনী নিবেদিতা (১৮৬৫-১৯১১)
৬০. মনিকুন্তলা সেন (১৯১০-১৯৮৭)
৬১. মনোরমা বসু (১৮৯৭-১৯৮৬)
৬২. মাতঙ্গিনী হাজরা (১৮৭০-১৯৪২)
৬৩. মাদার তেরেসা (১৯১০-১৯৮৭)
৬৪. মানকুমারী বসু (১৮৬৩-১৯৪৩)
৬৫. মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা (১৯০৬-১৯৭৯)
৬৬. মেহেরুন্নেসা (১৯৪০-১৯৭১)
৬৭. মৈত্রেয়ী দেবী (১৯১৪-১৯৯০)
৬৮. রওশন জামিল (১৯৩১-২০০২)
৬৯. রানী চন্দ (১৯১২-১৯৯৭)
৭০. রানী ভবানী (১৭০৪-১৭৯৩ )
৭১. রানী রাসমনি (১৭৯৩-১৮৬১)
৭২. রাসসুন্দরী দেবী (১৮১০-১৯০০)
৭৩. রাশমণি হাজং (১৮৯৮-১৯৪৬)
৭৪. লায়লা সামাদ (১৯২৮-১৯৮৯)
৭৫. লীলা নাগ (রায়) (১৯০০-১৯৭০)
৭৬. লীলা মজুমদার (রায়) (১৯০৮-২০০৭)
৭৭. লীলা রায় (১৯১০-১৯৯২)
৭৮. শরৎকুমারী চৌধুরানী (১৮৬১-১৯২০)
৭৯. শান্তি ঘোষ (১৯১৬-১৯৮৯)
৮০. শামসুন্নাহার মাহমুদ (১৯০৮-১৯৬৪)
৮১. সন্তোষকুমারী (১৮৯৭-১৯৮৯)
৮২. সরলা দাশ (রায়) (১৮৬১-১৯৪৬)
৮৩. সরলা দেবী চৌধুরানী (১৮৭২-১৯৪৫)
৮৪. সরোজিনী নাইডু (১৮৭৯-১৯৪৯)
৮৫. সারা তৈফুর (১৮৮০-১৯৭১)
৮৬. সাহানা দেবী (১৮৯৭-১৯৯০)
৮৭. সুচিত্রা মিত্র (১৯২৪-২০১১)
৮৮. সুচিত্রা সেন (১৯৩১-২০১৪)
৮৯. সুচেতা কৃপালিনী (১৯০৮-১৯৭৪)
৯০. সুনীতি চৌধুরী (১৯১৭-১৯৮৮)
৯১. সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯)
৯২. সেলিনা পারভীন (১৯৩১-১৯৭১)
৯৩. সেলিনা বানু (১৯২৬-১৯৮৩)
৯৪. স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২)
৯৫. সৈয়দা মোতাহেরা বানু (১৯০৬-১৯৭৩)
৯৬. হরিপ্রভা তাকেদা (১৮৯০-১৯৩২)
৯৭. হাজী সহিফা বানু (হাজী বিবি) (১৮৫০-১৯১৭)
৯৮. হেনা দাস (১৯২৪-২০০৯)
৯৯. হেমপ্রভা মজুমদার(১৮৮৮-১৯৬২)
১০০. হোসনে আরা (১৯১৪-১৯৯৯)
Leave a Reply
Your identity will not be published.