সার্বিয়া: শুভ্র শহরের দেশে (পর্ব ১৬)

সার্বিয়া: শুভ্র শহরের দেশে (পর্ব ১৬)

[কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা বা ঘোরাঘুরি— এসব ক্ষেত্রে ভ্রমণপিপাসু বেশির ভাগ মানুষের ঝোঁক পশ্চিম ইউরোপের দিকে। অথচ পাহাড়-নদী-প্রকৃতির সৌন্দর্যে বিখ্যাত পূর্ব ইউরোপও। যেখানে রয়েছে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য আর ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাস্তবধর্মী পাঠ। এমনই এক দেশ সার্বিয়া। ভ্রমণের বহুরৈখিক পথে লেখকের কাছে নতুন উপজীব্য হয়ে ওঠে সার্বিয়ান এক তরুণী। ঠিক প্রেম নয়, প্রেমের চেয়ে কম কিছুও নয়। পার্থিব দৃশ্যপটের সঙ্গে উঠে এসেছে রোমান্সের হৃদয় ছোঁয়া-না ছোঁয়ার গল্পও। যার পুরো বর্ণনা থাকছে ইমদাদ হকের এই ভ্রমণকাহিনিতে। আজ পড়ুন ১৬তম পর্ব।]

প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব চতুর্থ পর্ব পঞ্চম পর্ব ষষ্ঠ পর্ব 

সপ্তম পর্ব অষ্টম পর্ব নবম পর্ব দশম পর্ব 

পর্ব ১১ পর্ব ১২ পর্ব ১৩ পর্ব ১৪ পর্ব ১৫

 

স্বর্ণমণ্ডিত সেন্ট সাভায় সৌন্দর্যের ঝলকানি

রয়েল প্যালেস থেকে বের হই। বাইরে তখন ঝিঁঝি পোকার ডাকের সন্ধ্যা। নিয়ন আলোর মাঝে মুষলধারে বৃষ্টি। এখানে ঘন সেই জঙ্গলের মধ্য দিয়েই আবার রাস্তা, যানবাহন চলাচল কম। একটা দুটো গাড়ি শোঁ শোঁ করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে, ভেঁপু বাজিয়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বর থেকে মীর মশাররফ হোসেন হলের রাস্তার মতো। পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবন পার হয়ে কলাভবন। এরপর শহিদ মিনারের সামনে দিয়ে পদার্থবিজ্ঞান অনুষদ। এরপর বোটানিক্যাল গার্ডেন। পদার্থবিজ্ঞান পার হয়ে এখন ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে। কাটা পড়েছে কত গাছপালা। আমাদের ছাত্রকালীন তাও কিছু জঙ্গল ছিল। সেই সময়ের জঙ্গল আর বেলগ্রেডের রয়েল প্যালেস এলাকার গাছপালা— অনেকটাই একরকম। এবার আমরা যাচ্ছি গির্জা দেখতে, যার মধ্য দিয়ে শেষ হবে আজকের ভ্রমণ-দর্শন পাঠ।

সার্বিয়ার রাজধানী শহর বেলগ্রেডকে মিউজিয়ামের শহর যেমন বলা হয়, তেমনি একে গির্জার শহরও বলা হয়ে থাকে। অনেকটা আমাদের ঢাকা শহরের মতো। ঢাকা যেমন মসজিদের শহর, বেলগ্রেড তেমনই চার্চের শহর। মিউজিয়ামের মতো এ শহরে চার্চের সংখ্যাও অনেক। কেবল বেলগ্রেড নয়, গোটা সার্বিয়াজুড়েই অসংখ্য চার্চ, মঠ, খ্রিষ্টধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে, রয়েছে অসংখ্য দুর্গও। তাই তো বেলগ্রেডকে বলা হয় সাদা শহরের দেশ।

সার্বিয়ার অধিবাসীদের অধিকাংশই খ্রিষ্টধর্মের অনুসারী। প্রায় ৮৫ শতাংশ অর্থোডক্স খ্রিষ্টান আর পাঁচ শতাংশ রোমান ক্যাথলিক। মুসলিমদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র তিন দশমিক এক শতাংশ। প্রোটেস্ট্যান্টদের সংখ্যা প্রায় ১ শতাংশের ওপরে। এক দশমিক এক শতাংশ লোক রয়েছে, যারা কোনো ধর্ম-কর্ম বা ঈশ্বরের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না। সার্বিয়ার সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতা দিয়েছে জনগণকে। তবে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেশি বলে সার্বদের প্রায় সব কাজ পরিচালিত হয় চার্চকে কেন্দ্র করে। রোমান অর্থোডক্স চার্চে যায় রোমানিয়ান সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভোজভোডিনার কিছু অংশের লোকেরা। ক্যাথলিক চার্চ বেশির ভাগই ভোজভোডিনার উত্তর অংশে অবস্থিত। বিশেষ করে হাঙ্গেরীয় জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ পৌরসভাগুলোতে। এর মধ্যে রয়েছে বাকা টোপোলা, মালি ইদোস, কাঞ্জিজা, সেন্টা, আদা ইত্যাদি। বহুজাতিগত শহর সুবোটিকাতেও ক্যাথলিকদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।

অর্থোডক্স বা ক্যাথলিক-প্রটোস্টেন্ট যা-ই হোক, সার্বরা মূলত চার্চ অনুগামী। পুরো দেশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গির্জা-চার্চ। রাজধানী শহর বেলগ্রেডও এর ব্যতিক্রম নয়। গোটা বেলগ্রেড এলাকায় ১৫ শতাব্দীর পর থেকে নির্মিত প্রচুর গির্জা ও মঠ দেখতে পাওয়া যায়। বেশ কয়েকটি রোমান ক্যাথলিক গির্জা, ইহুদিদের জন্য একটি উপাসনালয় রয়েছে। রয়েছে একটি মসজিদও। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ে ধর্ম অনুসারীদের সংখ্যাও উল্লেখ করার মতো।

রয়েল প্যালেস থেকে বের হয়ে আধাঘণ্টার মতো পথ। অর্থোডক্সের সামনে যখন দাঁড়াই, তখনো ঝুম বৃষ্টি। একজন করে সেবিকা ছাতা নিয়ে হাজির। দরজা খুলে ম্যাডামদের নিয়ে গেলেন তারা। আমি গোবেচারা যুবক! আশপাশে তাকাই, কেউ নাই। হাতে রাখা কাগজের ফাইল মাথায় ধরে দৌড়াতে থাকি। হাতের ডান দিকে বিশাল সাইনবোর্ড। সার্বিয়ান ও ইংরেজিতে লেখা।

সেন্ট সাভা অর্থোডক্স ক্যাথেড্রাল চার্চ। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটারেরও বেশি উঁচুতে অবস্থিত। ভূগোলের ভাষায় যাকে বলা হয় মালভূমি। রোদ্রোজ্জ্বল দিনে মন্দিরটাকে ঝকঝকে মনে হয়। পাহাড়ের চূড়ায় স্বর্ণের গহনা পরা নান্দনিক সৌন্দর্যের নিদর্শন এটি। ভ্রাকার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত চার্চটির চূড়া বেলগ্রেডের যে-কোনো অ্যাপরোচ রোড থেকে দেখা যায়। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম গির্জাÑ যার নাম সেন্ট সাভা অর্থোডক্স ক্যাথেড্রাল বেলগ্রেড। যার ভেতরের আয়তন তিন হাজার ৬৫০ বর্গমিটার। সাত হাজার ৯৬০ বর্গমিটারের অভ্যন্তরীণ আয়তন নিয়ে তালিকার শীর্ষে হাজিয়া সোফিয়া। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত এই গির্জাটা অবশ্য এখন মসজিদে রূপান্তর করা হয়েছে। বেলগ্রেডের গির্জার ভেতরে ১০ হাজারেরও বেশি লোক একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারে।

ফুলের তোড়া দিয়ে আমাদের বরণ করে নেন চার্চের পাদরিরা। সামনে ধরা হয় কয়েক রকমের মিষ্টিসহ ডালা। পছন্দমতো কয়েকটা মিষ্টি তুলে টপাটপ মুখে দিই। বিশাল গির্জার ভেতরে ঢুকি। আমাদের মুখে তখনো মাস্ক, গির্জার ভেতরে কারও মুখেই মাস্ক নেই। আরেকটু সামনে মূল আয়োজন। একজন ধর্মযাজক ব্রিফ করেন। পেছনে অর্গান, পিয়ানো, ইলেকট্রনিক কিবোর্ড ও অর্কেস্ট্রা হাতে প্রস্তুত তরুণ দল। ধর্মযাজকের ব্যাখ্যার ফাঁকে ফাঁকে বেজে উঠছে সুরসংগীত। স্রষ্টার প্রশংসা, উপাসনা, অনুশোচনা, বিলাপসহ নানা বিষয়ের থিম স্থান পেয়েছে এইসব সংগীতে।

তাকিয়ে দেখি গির্জার ভেতরে, দেয়ালে, ওপরের ছাদে। এটি নির্মাণ করতে সময় লাগে বেশ কয়েক বছর। সাদা মার্বেল পাথর ব্যবহার করে নিও-বাইজেন্টাইন শৈলীতে সেন্ট সাভা গির্জাটি তৈরি করা হয়। কেন্দ্রীয় গম্বুজটির উচ্চতা ৭০ মিটার, যেখানে কপোলার ওপরে সোনালি ক্রসের দৈর্ঘ্য ১৩ মিটার লম্বা। তেরো শতকে নির্মাণের পর অটোমান সাম্রাজ্যের সময় ১৫৯৫ সালে গির্জাটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে কয়েক দফার সংস্কারকাজের পর আজকের আধুনিক রূপ। গির্জার বিশাল গম্বুজ আর চারটি লম্বা কাঠামোর কারণে আলোর দুর্দান্ত প্রতিফলন আর সংবেদনশীলতা এর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। ভেতরের বড়ো একটি অংশ সোনার মোজাইক দিয়ে নির্মিত।

‘...গান গেয়ে তরি বেয়ে কে আসে পারে!

দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।

ভরা-পালে চলে যায়,

কোন দিকে নাহি চায়,

ঢেউগুলি নিরুপায়

ভাঙ্গে দু’ ধারে

দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।’

সেন্ট সাভা চার্চকে দেখার পর রবি ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কবিতাটি মনে পড়ছিল। সেন্ট সাভাকে কোথায় যেন দেখেছি— এমন খুঁতখুঁতে ভাবনা আসে মনে। —হ্যাঁ, গঠনের দিক দিয়ে এটা অনেকটা ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়ার মতো। ভেতরে তৈলচিত্রের বেশ কিছু ছবি। যিশুখ্রিষ্ট থেকে শুরু করে মা মেরি কিংবা অর্থোডক্স চার্চের ছবি তৈলচিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ধর্মযাজকের ছবিও। অন্য যে-কোনো চার্চের তুলনায় এটি বেশি আকর্ষণীয়। সুন্দর করে সাজানো গোছানো, পুরো চার্চেই আভিজাত্যের ছাপ। ক্যাথলিক চার্চগুলো ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে লাতিন ভাষাকে গুরুত্ব দেয়। তবে অর্থোডক্স চার্চগুলো নিজেদের ভাষাই ব্যবহার করে। আর ধর্মীয় দিক থেকেও দুটোরই মর্যাদাপূর্ণ গুরুত্ব। সার্বিয়ান অর্থোডক্স চার্চে বিশ্বাসীরা সেন্ট সাভা অর্থোডক্স ক্যাথেড্রালকে তীর্থভূমি মনে করেন, যেমনটা ভ্যাটিকান পবিত্র তীর্থভূমি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের কাছে।

সেন্ট সাভা অর্থোডক্স ক্যাথেড্রালের নামকরণ করা হয় সেন্ট সাভার নামে, যিনি ১১৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মারা যান ১২৩৬ সালে। তিনি সার্বিয়ান রাজপুত্র ছিলেন। জাগতিক বিষয়ের প্রতি তিনি উদাসীন ছিলেন। অর্থোডক্স সন্ন্যাসী হিসেবেই তিনি জীবন কাটিয়ে দেন। সার্বিয়ান চার্চের প্রথম আর্চবিশপ সেন্ট সাভা ছিলেন আইন ও কূটনীতি বিষয়ে পারদর্শী। ১৫৯৪ সালে অটোমান শাসনের সময় তার দেহাবশেষ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

গির্জার সামনের দেয়ালের দারুণ কারুকাজ। ভেতরের দেয়ালেও যে নান্দনিক অঙ্গসজ্জা, তার শুরু ১৪ ও ১৫ শতকের শেষের দিকে। সেই সময়ে সার্বিয়াতে মোরাভা শৈলী নামে স্বয়ংক্রিয় স্থাপত্যশৈলী বিকশিত হয়। এর উৎপত্তি ঠিক মোরাভা উপত্যকার আশপাশের অঞ্চলে। মানসিজা, রাভানিকা এবং ক্যালেনিক মঠ সেই শিল্প ধারণ করে আজও টিকে আছে। ফ্রেসকোসের মধ্যে রয়েছে হোয়াইট অ্যাঞ্জেল (মিলেসেভা মঠ), ক্রুসিফিক্সন (স্টুডেনিকা মঠ) এবং ডর্মেশন অব দ্য ভার্জিন (সোপোকানি)। ট্র্যাডিশনাল সার্বিয়ান শিল্পের মূল প্রভাব মূলত দেখা যায় ১৮ শতকের শেষের দিকে। নিকোলা নেসকোভিচ, টিওডর ক্র্যাকুন, জাহারিজে অরফেলিন এবং জ্যাকভ অরফেলিনের কাজে ট্র্যাডিশনাল সার্বিয়ান শিল্পের প্রভাব লক্ষ করা যায়। যারা বিভিন্ন চার্চ ও প্রাসাদে স্থাপত্যশৈলী ফুটিয়ে তোলেন।

একদিকে ঠান্ডার প্রকোপ, সেই সঙ্গে ক্ষুধা— আমাকে ক্লান্ত করে তোলে। সময় গুনতে থাকি, কখন বের হব। সব মিলিয়ে ঘণ্টাখানেকের ব্রিফের পর প্রথম দিনের ভ্রমণ-দর্শন পর্ব শেষ হয়। গাড়িতে উঠে বসি হোটেলের উদ্দেশে। হোটেলে পৌঁছি যখন, ঘড়িতে সময় তখন নয়টা।

বৈরাকলি মসজিদ (বজরকলি জামিজা)

সার্বিয়াতে ইসলাম ধর্মের অনুসারী খুব বেশি নয়। মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৩ শতাংশ মুসলিম। বেশির ভাগ ইসলামের অনুসারী হলো বসনিয়াক, জাতিগত মুসলিম, আলবেনিয়ান এবং গোরানি। কিছুসংখ্যক রোমানও ইসলাম ধর্মের অনুসারী। মুসলিমদের বেশির ভাগই সার্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে স্যান্ডজাক বা রাস্কা অঞ্চলে বাস করেন। কিছু রয়েছে দক্ষিণ সার্বিয়ার কিছু অংশে। বেলগ্রেডে মুসলিমদের অবস্থান খুব বেশি নয়। স্থায়ী আবাস তেমন নেই বললেই চলে। যারা আসে, তারা কাজকর্ম সেরে আবার নিজেদের বসতভিটায় ফিরে যায়। এ কারণে এ শহরে মসজিদ তেমন নেই। বর্তমানে মসজিদ বৈরাকলি বা বজরকলি জামিজা এখানকার একমাত্র সক্রিয় মসজিদ। যার অবস্থান শহরের জেভরেমোভা গোসপোদার রাস্তায়। তুর্কি আমলে ১৫৭৫ সালের দিকে নির্মিত হয়েছিল এটি। এই মসজিদটিকে মনে করা হয় বেলগ্রেডের প্রাচীনতম স্থায়ী ভবনের একটি। এটির নির্মাণের সমসাময়িক আরও বহু মসজিদ ছিল বেলগ্রেডে। সার্বিয়ান সরকারি তথ্য বলছে, তুর্কি আমলে বেলগ্রেডেই ছিল প্রায় ২৭৩টি মসজিদ। পরবর্তী সময়ে যার প্রায় সবগুলোই ভেঙে ফেলা হয়। এটিকেও ভেঙে ফেলা হয়েছিল। অস্ট্রিয়ান শাসনের সময় ১৭১৭ ও ১৭৩৯ সালের মধ্যে এটি ভেঙে একটি ক্যাথলিক গির্জায় পরিণত করা হয়। তুর্কিরা ফিরে আসার পর এটিকে আবারও মসজিদে পরিণত করা হয়। ১৮ শতকের শেষের দিকে সমস্ত মসজিদে একযোগে নামাজ শুরুর চিহ্ন হিসেবে এই মসজিদের নামকরণ করা হয় বজরকলি। ১৯ শতকে মসজিদটির পুনঃসংস্কার হয়। তখন থেকেই এটি শহরের প্রধান মসজিদ। মুসলিম শাসনামলের ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বজরকলি মসজিদের ঐতিহ্য আজও গৌরবের।

(চলবে…)

Leave a Reply

Your identity will not be published.